![scriptForHost](http://www.dhakarnews24.com/wp-content/uploads/2022/10/250736330_317230573153387_7122495033757131903_n.png)
স্পোর্টস ডেস্ক : ২০২০ সালে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) চুক্তিতে ছিলেন, এমন ১৭ নারী ক্রিকেটার আইসিসিকে চিঠি দিয়েছেন। তালিবান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর আফগানিস্তানে নারীদের খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে।
যেহেতু মেয়েদের জাতীয় দল নেই, তাই অস্ট্রেলিয়ায় একটি শরণার্থী দল বানানোর প্রস্তাব দিয়ে আইসিসির সাহায্য চেয়েছেন ওই নারীরা। শনিবার আইসিসির চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলেকে চিঠি পাঠিয়েছেন তারা।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আমরা, আফগানিস্তান নারী দলের পূর্বে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়রা, আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের অর্জনে গর্বিত এবং রোমাঞ্চিত। রশিদ খান ও তার দলকে সেমিফাইনালে পৌঁছানোর জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই। তবে একটা গভীর দুঃখের বিষয় যে, আমরা নারী হিসেবে পুরুষ ক্রিকেটারদের মতো দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি না।’
আইসিসি চাইলেও আফগানিস্তান নারী দলকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে পারবে না। কারণ আইসিসির কোনো সদস্য তাদের কোন দলকে স্বীকৃতি দেবে, তার এখতিয়ার সম্পূর্ণ সংশ্লিষ্ট বোর্ডের।
তালিবান সরকার আপাতত আফগানিস্তানের কোনো নারী দলকে খেলাধুলায় স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়। তাই বিকল্প পদ্ধতিতে আইসিসির কাছে আবেদন জানিয়েছেন ওই নারীরা। তাদের অনেকেই বিদেশে নির্বাসিত। একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অস্ট্রেলিয়ায় বাস করেন, কেউ কেউ আছেন যুক্তরাজ্য এবং কানাডায়। বেশিরভাগই খেলছেন স্থানীয় ক্রিকেট ক্লাবে।
সম্প্রতি আফগানিস্তান পুরুষ দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফম্যান্স দেখানোর পর বিশ্বকে তাদের অস্তিত্বের কথা মনে করিয়ে দিতেই মূলত আইসিসিকে চিঠি দিয়েছেন এই নারী ক্রিকেটাররা।
২০২০ সালে সালের নভেম্বরে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে কাবুলে নারী ক্রিকেটারদের একটি ট্রায়াল হয়েছিল। সেখান থেকে ২৫ জন ক্রিকেটারকে চুক্তির আওতায় আনা হয়।
কথা ছিল, নারী ক্রিকেট দল ওমান সফরে যাবে। কিন্তু এর কয়েক মাস পর তালিবান ক্ষমতা নেওয়ার পর আফগানিস্তানে নারীদের খেলাধুলা নিষিদ্ধ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :